আবু মুছা রওসাদ,সিনিয়র স্টাফ করেসপন্ডেন্টঃ
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোঃ মিরাজ হোসেন বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে রাত ৮টার দিকে ঘটনাস্থলে আসি। এখানে একটি ঘরের বারান্দার মেঝে মরদেহটি দেখতে পাই।নিহতের নাম-পরিচয় এখনও জানা যায়নি। পরিচয় শনাক্ত করতে আমরা বিভিন্ন থানায় যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি।
মাদারীপুরের শিবচরে একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে হাত পা বাঁধা এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার(২০ সেপ্টেম্বর) রাত ৮ টার দিকে উপজেলার মাদবরেরচর ইউনিয়নের কালাই হাজীর কান্দি গ্রামের মোশাররফ শেখের (পরিত্যক্ত ঘরের ভেতর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়
তবে রাত সাড়ে ৮ টা পর্যন্ত উদ্ধার হওয়া মরদেহটির কোনো পরিচয় মেলেনি।নিহত ব্যক্তির বয়স আনুমানিক ৪৩ বছর।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সন্ধ্যায় ওই বাড়ি থেকে গন্ধ বের হচ্ছিল। এসময় আশেপাশের লোকজন দূর্গন্ধের উৎস ধরে ঘরটির মধ্যে মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পরে শিবচর থানা পুলিশ গিয়ে ঘরের ভেতর থেকে হাত-পা বাঁধা মরদেহটি উদ্ধার করে। লাশের মুখ ও হাত-পা আগুনে ঝলসানো অবস্থায় রয়েছে। তবে পরিচয় সনাক্ত করা যায়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে।তার পরেনে গ্যাবাডিং মেরুন কালার প্যান্ট ও বাসন্তী কালার টিশার্ট রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, মোশাররফ শেখ ঢাকার একটি কওমী মাদ্রাসায় চাকুরী করেন।পরিবার পরিজন নিয়ে ঢাকাতেই থাকেন। বাড়িতে এসে থাকার জন্য একটি টিনশেড ঘর তৈরি করেন। তবে ঘরটিতে কেউ থাকতো না। ঘরটির বাড়ান্দা খোলা। এবং অনেকটা পরিত্যক্ত অবস্থায় মরদেহটি পরে আছে।
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোঃ মিরাজ হোসেন বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে রাত ৮টার দিকে ঘটনাস্থলে আসি। এখানে একটি ঘরের বারান্দার মেঝে মরদেহটি দেখতে পাই।নিহতের নাম-পরিচয় এখনও জানা যায়নি। পরিচয় শনাক্ত করতে আমরা বিভিন্ন থানায় যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি।
এবিষয়ে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (শিবচর সার্কেল) মোঃ আনিসুর রহমান বলেন,”খবর পেয়ে আমরা এখানে আসি।এসে এখানে একটি ডেড বডি দেখতে পাই।বডিটির পা ও শরীর রশি দিয়ে বাঁধা ও মুখমণ্ডল পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।সেটা আগুন বা বিষাক্ত কোন পদার্থ দ্বারা।আমরা প্রাথমিকভাবে চেষ্টা করছি এই ব্যক্তি অত্র এলাকার বা বাহিরের কোন এলাকা থেকে নিয়ে আসা হয়েছে কিনা তার পরিচয় উদ্ঘাটন করার জন্য।আমরা এখন তার মরদেহ মাদারীপুরের সদর হাসপাতালে পাঠাবো।পরিবর্তী কার্যক্রম আমরা শুরু করেছি”
এসময় শিবচর থানর পরিদর্শক (তদন্ত) আমির হোসেন সেরনিয়াবাত,পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সঞ্জীব জোয়ারদার মাদবরেরচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফজলুল হক মুন্সিসহ অনেকেই।