 
							
							 
                    আবু মুছা রওসাদ, সিনিয়র ষ্টাফ করেসপন্ডেন্টঃ
পদ্মা সেতু বাস্তবায়নের সাথে সাথে আমাদের এলাকায় বিভিন্ন মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে অনেক জমি অধিগ্রহন করতে হয়েছে। অনেকের ভিটা মাটি নিতে হয়েছে। এসকল প্রকল্পে এক শ্রেনীর দালাল চক্র গরীব মানুষের সরলতার সুযোগে অন্যায় দূর্নিতীর আশ্রয় নিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। কোন অধিগ্রহন করতে গেলে এখানে জমি ভাড়া নিয়ে কেউ ঘর তুলছে বা গাছ লাগাচ্ছে। উন্নয়ন প্রকল্পগুলোতে টাকা লোপাটে দালাল শ্রেনী শক্তিশালী হয়ে গেছে। এদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করতে হবে,কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে প্রশাসনকে।এসব কথা বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ নুর ই আলম চৌধুরী এমপি।
শুক্রবার (২৭ আগস্ট) বেলা ১১ টার দিকে মাদারীপুরের শিবচরের সন্নাসীরচর ইউনিয়নের খাসেরহাটে প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নব নির্মিত দুইতলা ভবন বিশিষ্ট মাল্টিপারপাস মার্কেটের উদ্বোধন শেষে এক মতবিনিময়সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি প্রশাসনের প্রতি এসব কথা বলে।
এসময় তিনি বলেন, ৫ বছর আগে এ প্রকল্পগুলো কি অবস্থায় ছিল স্যাটেলাইটে তার ছবি আছে। এখন শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ এটা । ইচ্ছা করলেই যা খুশি তা করা যাবে না। জেলা প্রশাসক বললো দালালরা ভূয়া দলিল করে একটি প্রকল্প থেকে ৩৫ কোটি টাকা হাতিয়ে নিলেও প্রায় ৯ কোটি টাকা তিনি ফেরৎ আনতে সমর্থ্য হয়েছেন। এজন্য আমি শিবচরবাসির পক্ষ থেকে তাকে ধন্যবাদ জানাই।
জেলা প্রশাসকসহ প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে চীফ হুইপ আরো বলেন, দূর্নিতীর মাধ্যমে কারা এসকল প্রকল্প থেকে টাকা নিয়েছে এটা আপনাদের তদন্ত করে বের করতে হবে। যারা এ দূর্নিতীর সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রকল্পগুলোর কাজ করতে গেলেই আমাদের বাধা আসে। হঠাৎ করেই গাড়িতে করে মাদারীপুর থেকে লোকজন(দালালরা) চলে আসে। আমরা শিবচরকে ভিন্নভাবে উন্নয়ন করতেছি। ভিন্ন ধারায় আমরা কাজ করছি। আমাদের উন্নয়নকে কেউ বাঁধা দেবে তা আমরা মেনেিনিয়র নেবো না। আমরা কোন দূর্নিতীকে প্রশ্রয় দেবো না। এই দূর্নিতীর সাথে শিবচরের কোন আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী যদি জড়িত থাকে আপনারা প্রশাসনিকভাবে যদি কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেন,গ্রেফতার করেন শিবচর আওয়ামীলীগ আপনাদের পক্ষে থাকবে। আমরা আপনাদের সকল ধরনের সহযোগীতা করবো। এই দূর্নিতীর সাথে যে সকল অফিসার, মাদারীপুরের ব্যাক্তিবর্গ যেই জড়িত থাকুক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। তারা সামাজিকভাবে যে অবস্থানেই থাকুক, যে সাইনবোর্ড ব্যবহার করে চলুক আপনারা সঠিক তদন্ত করে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করুন। শিবচরের উন্নয়ন থেকে শতশত কোটি টাকা মাদারীপুরে লুটপাট হবে তা আমরা মেনে নিতে পারি না।
সন্যাসীরচর এলাকার সবচেয়ে বড় একটি সমস্যা নদীভাঙন। ইতোমধ্যে এই ভাঙন রোধে ৪ শত কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে কাজও শুরু হয়েছে। আগামী বছর পর্যন্ত এই কাজ শেষ হবে বলে আশা রাখি।’
মাদারীপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী বাবুল আখতারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুনির চৌধুরী।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন শিবচর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আ: লতিফ মোল্লা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আসাদুজ্জামান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাহিমা আক্তার, উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান মোল্লা, সাধারন সম্পাদক ডা: মো: সেলিম প্রমূখ।
পরে চীফ হুইপ দত্তপাড়া ইউনিয়নে ১০ শয্যা বিশিষ্ট চৌধুরী ফাতেমা বেগম মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্র উদ্বোধনসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শন করেন।