মাদারীপুর প্রতিনিধি।।
মাদারীপুরে এক শতবর্ষী বৃদ্ধাকে রাস্তার পাশে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তার সন্তানদের বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগী বৃদ্ধার নাম জানা না গেলেও তার বাড়ী মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলার আমগ্রাম এলাকায়। তবে তিনি অসুস্থ্য হওয়ায় আর কিছু বলতে পারছে না।
সোমবার (১ নভেম্বর) সকালে ১০ টার দিকে এলাকাবাসী, সাংবাদিক ও পুলিশের সহযোগীতায় বৃদ্ধা মাকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার(২৮অক্টোবর) দুপুরে মাদারীপুর সদর উপজেলার মস্তফাপুর ইউনিয়নের তাঁতীবাড়ী ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে ফেলে যান সন্তানেরা।পরে এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে পাশের একটি বাড়িতে নিয়ে যান। তবে গত দুইদিন আগে সড়কের একটি ভ্যান গাড়ীর সাথে ধাক্কা লেগে আহত হন এরপর কারো সাথে কথা বলতে পারছে না বৃদ্ধা মা। তাছাড়া স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করলেও সন্তানের উপর অভিমান করে কারো সাথে কোন কথা বলছে না এবং পানি ছাড়া তিনি কিছু খাচ্ছে না। পরে ওই বাড়ির লোকজন স্থানীয় সাংবাদিকদের খবর দিলে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশের সহযোগীতায় বৃদ্ধাকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়ার ব্যবস্থা করেছে।
স্থাণীয় ব্যবসায়ী সরোয়ার জানান, গত শুক্রবার দুপুরে একটি ভ্যানে করে একটি ছেলে এই বৃদ্ধাকে স্কুলের পাশে ব্রীজের পাশে রেখে যায় কিন্ত সে সময় ভাবতে পারিনি যে এই বৃদ্ধা মাকে ফেলে রেখে গেছে। তবে বিকালে তাকে দেখে তার কাছ থেকে জানতে পারি তাকে তার সন্তান রেখে গেছে তার জন্য খাবার আনতে কিন্ত আর আসেনি এবং সে শুধু বলতে পারে তার বাড়ী আমগ্রাম এলাকায়।
স্থানীয় এলাকার রহিমা বলেন, আমি প্রথমদিন তাকে খাবার দিয়েছিলাম কিন্ত পরদিনে পর থেকে এক কাপ চা ছাড়া আর কিছু খায়নি এবং কারো সাথে কথা বলতে চায় না। যদিও বলে তখন বলে আমার কেউ নাই। তাছাড়া সে দু্ইদিন আগে ভ্যানে সাথে ধাক্কা লেগে আহত হয়। এর পর তার কথাও বোঝা যাচ্ছে না। আমরা এই পাষন্ড সন্তানের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি চাই।
মাদারীপুর সদর হাসপতালের মেডিকেল অফিসার মো. বদরুজামান সম্রাট জানান, সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিচ্ছি।
মাদারীপুর সদর মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো. মনোয়ার চৌধুরী জানান, আমাকে এক সাংবাদিক ভাই ফোন দিয়ে বিষয়টি জানালে আমি ফোর্স পাঠিয়ে বৃদ্ধা মহিলাকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়ার ব্যবস্থা করেছি। এবং তার ঠিকানা ও পরিচয় জানার চেস্টা করছি।
Leave a Reply