মাদারীপুর প্রতিনিধি:
মাদারীপুরের শিবচরের ডাকাতি করতে গিয়ে
মিরজন খালাসী (৪৩) ও আসমত আলী খান ওরফে হাসমত (৪৫) গনপিটুনিতে ২ ডকাত নিহত হয়েছে।
সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলার বাঁশকান্দি ইউনিয়নের চর ছলেনামা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মিরজন খালাসী বাঁশকান্দি ইউনিয়নের সুম্ভুক এলাকার মৃত আবু আলী খালাসীর ছেলে ও আসমত আলী খান ওরফে হাসমত মাদারীপুর সদর উপজেলার ছিলারচর ইউনিয়নের লক্ষীপুর এলাকার রত্তন খানের ছেলে।
স্থানীয়, পুলিশ ও হাসপাতাল সুত্রে জানা যায়, সোমবার রাত ২ টার দিকে সুম্ভুক এলাকার হালিম ফকিরের বাড়িতে ডাকাতি করার উদ্দেশ্য সংঘবদ্ধ ৫ জন ডাকাত সেখানে যায়।সেখানে লোকজন তাদের দেখে চিৎকার দিলে ডাকাত দল সেখান থেকে দৌড়ে এসে পাশের চর ছলেনামা এলাকায় একটি ঝোপের মধ্যে পালিয়ে থাকে।এসময় গ্রামে ডাকাত এসেছে শুনে চর ছলেনামা,বাজিতপুর ও সুম্ভুক গ্রামের লোকজন তাদের ধাওয়া করে।এসময় তিন ডাকাত পালিয়ে গেলেও মিরজন ও হাসমত জনতার হাতে আটক হয়।পরে এলাকার লোকজনের পিটুনিতে মিরজন নিহত ও হাসমত আহত হয়। পরে খবর পেয়ে শিবচর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক মো: গুলজার আলমের নেতৃত্ব পুলিশের একটি দল বাজিতপুর গ্রামের রত্তন মোল্লার বাড়ির পাশে থেকে তাদের উদ্ধার করে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মিরজনকে মৃত ঘোষণা করেন ও হাসমতকে হাসপাতালে ভর্তি করেন।পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য হাসমতকে উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথর সেখানে দুপুর আড়াইটার দিকে তার মৃত্যু হয়।
শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মো: মাইনুল ইসলাম বলেন,’ভোর সারে পাঁচটার দিকে পুলিশের সদস্যরা দুইজনকে এখানে নিয়ে আসলে আমরা একজনকে মৃত অবস্থায় পাই।আরেকজনকে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে।।পরে তাকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সহকারী পুলিশ সুপার(শিবচর সার্কেল) মো. গোলাম রাব্বানী বলেন, ভোর রাতে এলাকাবাসী ২ জনকে গনপিটুনি দেয়।সংবাদ পেয়ে ওই এলাকায় গিয়ে তাদের উদ্ধার করে পুলিশ।এতে ১ জন ভোরেই মারা যায়। আহত আরেকজনকে শিবচর থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য মাদারীপুর নিয়ে যাওয়ার পথে দুপুরে তার মৃত্যু হয়।তাদের নামে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।’