নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
পুলিশ জানিয়েছে, স্বজনদের দেয়া তথ্যমতে লাশটি মো.রেজাউল করিম(৩৫) এর। তিনি ১০/১২ দিন আগে বগুড়া থেকে নিঁখোজ হন বলে তার স্বজনেরা জানান। তিনি বগুড়া সদর উপজেলার চক সূত্রাপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে।
মাদারীপুরের শিবচরে সোমবার ২০ (সেপ্টেম্বর) রাত ৮ টার দিকে উদ্ধারকৃত মরদেহটির পরিচয় শনাক্ত করেছে তার স্বজনেরা। মঙ্গলবার(২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বগুড়া থেকে এসে মাদারীপুর মর্গে গিয়ে মরদেহটি শনাক্ত করেন স্বজনেরা।
পুলিশ জানিয়েছে, স্বজনদের দেয়া তথ্যমতে লাশটি মো.রেজাউল করিম(৩৫) এর। তিনি ১০/১২ দিন আগে বগুড়া থেকে নিঁখোজ হন বলে তার স্বজনেরা জানান। তিনি বগুড়া সদর উপজেলার চক সূত্রাপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে।
সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার(শিবচর সার্কেল) মো. আনিসুর রহমান বলেন,’সোমবার রাত ৮ টার দিকে শিবচরের মাদবরেরচর ইউনিয়নের কালাই হাজীরকান্দি গ্রামের একটি পরিত্যাক্ত ঘর থেকে হাত ও শরীর বাঁধা এবং মুখমন্ডল ঝলসানো অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করি। তাৎক্ষনিক ভাবে পরিচয় না পেয়ে অন্যান্য থানায় ম্যাসেজ দেয়া হয়। মঙ্গলবার দুপুরে বগুড়া থেকে নিহতের বড়ভাইসহ কয়েকজন স্বজন এসে লাশটি শনাক্ত করেন। তবে মুখ ঝলসানো থাকায় আমরা ডিএনএ টেস্ট করিয়ে মরদেহটি স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেবো। এদিকে হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। নিহতের স্বজনদের সাথে বিস্তারিত আলাপের পর আরও তথ্য জানা যাবে।’
উল্লেখ্য, সোমবার বিকেলে স্থানীয় শিশুরা খেলতে গিয়ে তীব্র দূর্গন্ধ পায়। দূর্গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে পরিত্যক্ত ঘরটির ভেতরে উঁকি দিলে মরদেহটি দেখতে পায়। বিষয়টি আশেপাশের লোকজনকে জানালে তারা পুলিশে খবর দেয়। পরে শিবচর থানা পুলিশ গিয়ে ঘরের ভেতর থেকে হাত ও শরীর রশি দিয়ে বাঁধা অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করে। লাশের মুখ ও হাত-পা আগুনে ঝলসানো অবস্থায় রয়েছে। পুলিশ ধারনা করছে, ৭/৮ দিন আগে হত্যা করে লাশটি এখানে ফেলে রাখা হয়েছে।