ডেস্ক রিপোর্ট
রাত পোহালেই ঈদ। শেষ মুহুর্তে পরিবার-পরিজনের রাতে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে রাজধানী ঢাকা থেকে সামান্য কিছু যাত্রী দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলে আসছেন।তারা বাংলাবাজার- শিমুলিয়া নৌরুট দিয়ে গন্তব্যে ফিরেছেন।তবে ঈদের আগের দিন সোমবার যাত্রীদের চাপ নেই মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাটে। গত তিন দিন ঘরমুখো মানুষের উপচেপড়া ভিড় থাকলেও আজ অনেকটাই ফাঁকা বাংলাবাজার ঘাট। সকাল থেকেই ঘাটের পরিবেশ স্বাভাবিক। স্বাভাবিক রয়েছে ফেরি, লঞ্চ এবং স্পিডবোট চলাচলও।
সোমবার (২ মে) সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত ঘাট এলাকা ঘুরে এমন পরিস্থিতি দেখা যায়।
বিআইডব্লিটিসির বাংলাবাজার ঘাট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সোমবার ঈদ হতে পারে এমন ভেবে অধিকাংশ যাত্রী রাতের মধ্যেই তাদের গন্তব্যে পৌঁছে গেছেন। সেকারণে ঘাট কিছুটা ফাঁকা। তবে দুপুরের পর যাত্রী চাপ বাড়তে পারে।
ঘাট সুত্র আরো জানান রোববার (১ মে) সারা রাতই যাত্রীরা রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ঘরে ফিরেছেন।ভোর রাতের দিকে ঝড়ো বৃষ্টি শুরু হলে দূর্ভোগে পরেন ঘরমুখো যাত্রীরা। শিমুলিয়া ঘাট থেকে ভিজতে ভিজতে বাংলাবাজার ঘাটে আসেন যাত্রীরা।বাংলাবাজার ঘাটে নেমে ফেরিঘাট থেকে দূরপাল্লার বাসের কাউন্টারে আসতে ভিজতে হয়েছে যাত্রীদের। বৃষ্টি-কাদায় মাখামাখি করে বাড়ি ফিরতে হয়েছে যাত্রীদের।
শরিয়তপুরের জাজিরা উপজেলার নাওডোবা এলাকার সাইদুর বলেন, ঢাকা থেকে সকালে রওনা দিয়েছি। লঞ্চে পার হইলাম।লঞ্চে যাত্রী নেই বললেই চলে।মনে হইলো ২ মাস গে যেমনে পার হইলাম আজো তেমনি পর হইলাম।
বিআইডব্লিউটিসি’র বাংলাবাজার ঘাটের ব্যবস্থাপক মোঃ সালাউদ্দিন বলেন, “এই নৌপথে ২৪ ঘন্টাই ফেরি চলাচল করে।সকাল ৬টা থেকে বেলা ১১ টা পর্যন্ত ৮ টি ফেরি ওপার থেকে এই ঘাটে যানবাহনের নিয়ে এসেছে।যাত্রী তেমন পারাপার হচ্ছে না। সারাদিন মোট ১০টি ফেরি চলাচল করবে।”
বিআইডব্লিউটিএ’র বাংলাবাজার লঞ্চ ঘাটের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আক্তার হোসেন বলেন,‘সোমবার ভোর সাড়ে ৬ টা থেকে নৌরুটে লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে ।ঘাটে ৮৫টি লঞ্চ ও ১৫৪ টি স্পিড বোট এই ঘাটে চলাচল করছ । আজ এবং ঈদের দিন মঙ্গলবার একইভাবে যাত্রী সেবা প্রদান করা হবে।