1. rafiqulislamnews7@gmail.com : Rafiqul Islam : Rafiqul Islam
  2. jmitsolution24@gmail.com : jmmasud :
বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ১২:০৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
সৌদি আরব থেকে দেশে এসে স্ত্রী -সন্তানদের সাথে দেখা করতে শ্বশুর বাড়ি যাওয়ার পথে যুবকের মৃ*ত্যু শিবচরে আলোচিত রাকিব হ*ত্যা মাম*লার দুই আ*সা*মী গ্রে*ফ*তার শিবচরে শ্রেষ্ঠ গুণী শিক্ষক হলেন ইদ্রিস ও লাইলুন নাহার শিবচরে ৩ মাসের শিশুকে নদীতে ফেলে হত্যা করলো মা, অভিযুক্ত মা মানসিক ভারসাম্যহীন দাবী শিবচরে মেধাবী ছাত্র ছাত্রীদের মাঝে বৃত্তি প্রদান ক্যাম্পাসে ভালোবাসায় সিক্ত ‘জুলাই কন্যা’ মাদারীপুরের তন্বী ডাকসু নির্বাচনে শিবচর থেকে প্রার্থী হয়েছেন যারা শিবচর উপজেলা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্সপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ অনুষ্ঠিত ও নতুন কমিটি গঠন যোগদানের ২২ দিনের মাথায় শিবচর থানার ওসি প্রত্যাহার শিবচরে শিক্ষার্থীদের মাঝে ফলদ ও ঔষধি গাছের চারা বিতরণ

মাদারীপুরে প্রেমিকাকে হত্যা মামলায় প্রেমিকের ফাঁসি

  • প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২২, ৬.১৯ পিএম
  • ৭৩৭ জন সংবাদটি পড়েছেন।

মাদারীপুর প্রতিনিধি,

মাদারীপুরে ফরিদা বেগম নামের এক নারীকে হত্যা মামলায় ১৪ বছর পরে প্রেমিক শহিদুল মোল্লাকে (৪২) মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে জেলার অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক লায়লাতুল ফেরদৌস এ রায়ের আদেশ দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত শহিদুল মোল্লা সদর উপজেলার ঝাউদি ইউনিয়নের ব্রাহ্মণদী এলাকার মোহাম্মদ মোল্লার ছেলে।

মামলার বিবরণ ও আদালত সূত্র জানায়, মাদারীপুর সদর উপজেলার ব্রাহ্মণদী এলাকার মোহাম্মদ মোল্লার ছেলে শহিদুল মোল্লার সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো মহিষেরচর এলাকার আব্দুল করীম ক্কারীর মেয়ে ফরিদা বেগমের। ২০০৮ সালের ৬ মে সকালে ফরিদা বেগম শহিদুল মোল্লার সাথে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনা। পরের দিন ৭ মে সকালে কালকিনি উপজেলার দক্ষিন ধুয়াসার এলাকার কাদের কবিরাজের পেপে বাগান থেকে ফরিদার মৃতদেহ উদ্ধার করে কালকিনি থানা পুলিশ। পরবর্তীতে এ ঘটনায় নিহতের ভাই হান্নান ক্কারী একই দিনে বিকেলে শহিদুল মোল্লাকে ও অজ্ঞাতনামা আরো বেশ কয়েকজনকে আসামী করে কালকিনি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। পরে এ ঘটনায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালীন কালকিনি থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ হারুনর রশীদ ঘটনার তদন্তের পর ২০০৯ সালের ২২শে জুন আসামী শহিদুল মোল্লাকে একমাত্র অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। এরপর আদালত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ ১২ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ করে। পরে বিচারিক আদালতে দীর্ঘ ১৪ বছর যুক্তিতর্ক শেষে উপযুক্ত স্বাক্ষী প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে শহিদুল মোল্লাকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন।

মামলার বাদী নিহতের ভাই হান্নান ক্কারী বলেন, আজ ১৪ বছর পর আমার বোনকে হত্যার মামলার রায় পেলাম। আদালতের এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। আদালতের কাছে একটাই দাবী এ রায় যেন দ্রুত কার্যকর করা হয়।

মাদারীপুর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. সিদ্দিকুর রহমান সিং বলেন, আসামী শহিদুল মোল্লা প্রতারণার মাধ্যমে ভিকটিমকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েও বিয়ে করেনি। পরে ভিকটিমকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করে। আমরা রাষ্ট্রপক্ষ প্রমাণ করতে পেরেছি শহিদুল মোল্লা তার প্রেমিকাকে হত্যা করেছে। আজ বিজ্ঞ আদালত আসামী শহিদুল মোল্লাকে ফাসির আদেশ দিয়েছে। এ রায়ে আমরা রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট।

এ বিষয়ে আসামী পক্ষের আইনজীবী রেজাউল করিম বলেন, আমরা ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছি। আমরা এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবো।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © 2022
Don`t copy text!