মাদারীপুর প্রতিনিধি
মাদারীপুর সদর উপজেলার মস্তফাপুর এলাকায় শাহাদাত ঘরামী (২৮) নামে এক যুবককে পরিকল্পিত খুনের ঘটনায় তিনজনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত।
সোমবার দুপুরে মাদারীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক লাইলাতুল ফেরদৌস এ আদেশ প্রদান করেন।
আসামিরা হলেন, মিরাজ ফকির, সেন্টু শরীফ।এদের দুজনের বাড়ী বরিশাল জেলার গৌরনদী থানার রামনগর গ্রামে ও ফজলেম শেখের বাড়ী মাদারীপুর সদর উপজেলার মস্তফাপুর গ্রামে। তবে তিনজন আসামি পলাতক রয়েছে।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১১ সেপ্টেম্বর রাতে মোটরসাইকেল চালক শাহাদাত ঘরামী কে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বড়দুলালী গ্রাম থেকে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে খুন করে। নিহত শাহাদাত একজন মোটরসাইকেল চালক। তাকে মোটরসাইকেল ভাড়া নেওয়ার কথা বলে ডেকে নেয় অভিযুক্ত ফজলে, সেন্টু ও মিরাজ। এরপর তারা মাদারীপুরের মাদারীপুর সদর উপজেলার মস্তফপুর এলাকার এক নির্জন স্থানে এনে খুন করে মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়। এরপর মাদারীপুর সদর থানা পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে। ঘটনার দুইদিন পরে নিহতের পিতা মোকসেদ ঘরামী মাদারীপুর সদর থানা একটি মামলা দায়ের করে। মামলা চলাকালে মামলার আসামিরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করে।
মোটরসাইকেল চালক শাহাদাতকে খুনের ঘটনার দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তিন অভিযুক্তকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ এবং প্রত্যেকের পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ প্রদান করেছে।
মাদারীপুর জজ কোর্টের পিপি সিদ্দিক সিং ঘটনা সততা স্বীকার করে বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ এ আদেশে সন্তুষ্ট।আমরা সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে প্রমাণ করতে পেরেছি আসামিরা ভিকটিমকে খুন করেছে। তিনি আরও বলেন,মামলার অন্যতম আসামি ফজলে বিরুদ্ধে পুলিশ তদন্ত করে ছয়টি ছয়টি ডাকাতি, হত্যা মামলা অস্তিত্ব পায়। এছাড়াও সেন্টু ও মিরাজ নামে দুই আসামি বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত বলে পুলিশ তদন্তে প্রমাণ পেয়েছে।
এদিকে মামলার বাদি শাহাদাতের পিতা মোকসেদ ঘরামীয আদালতের আদেশে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন আমরা চাই আদালত দ্রুততার আদেশ কার্যকর করুক।