ডেস্ক রিপোর্টঃ
আলহামদুলিল্লাহি রব্বিল আ’লামীন (সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য যিনি সৃষ্টি জগতের প্রতিপালক)। মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ’লার অশেষ রহমতে জুন ২৫, ২০২২২ উদ্বোধন হতে যাচ্ছে দক্ষিনাঞ্চল বাসীর স্বপ্নের পদ্মা সেতু।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা,
পদ্মা সেতু নির্মাণে আপনার আত্মবিশ্বাস, দূরদর্শিতা আর নিজস্ব অর্থায়নের সাহসী সিদ্ধান্তকে আমি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি।
আপনি পদ্মা সেতুর মতো অবকাঠামো নির্মাণ করে বাংলাদেশের উন্নয়নের মূর্ত প্রতীক হিসেবে বিশ্বে দৃষ্টান্ত স্থাপনের পাশাপাশি আত্মবিশ্বাস ও দূরদর্শিতার পরিচয় দিয়েছেন। সেতুর নির্মাণের সময় যে ষড়যন্ত্র ছড়িয়ে পড়েছিল আপনি তা দৃঢ়তার সঙ্গে মোকাবিলা করে সত্য প্রতিষ্ঠা করেছেন। পদ্মা সেতু আপনার দূরদর্শী নেতৃত্বের স্বাক্ষর বহন করছে। আপনার শাসনামলে বাংলাদেশের সক্ষমতা আরও একবার জানার সুযোগ পেল বিশ্ব। আপনি বারবার বিশ্বকে বাংলাদেশের সক্ষমতা দেখিয়েছেন।
পদ্মা সেতুর কাজ শেষ হয়েছে এখন আমরা গভীর আগ্রহ নিয়ে উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছি। বিশ্ব ব্যাংক দুর্নীতির মিথ্যা অভিযোগ এনেছিল তা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। অন্যান্য দাতারাও একই পথ অনুসরণ করেছে। বিশ্বব্যাংক ও দাতারা মুখ ফিরিয়ে নেওয়ায় এক সময় পদ্মা সেতুর ভবিষ্যৎ ও সেতুর নির্মাণকাজ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল। তখন সমালোচকেরা তাচ্ছিল্য প্রকাশ করেছিল। পদ্মা সেতু নির্মাণ করা আপনার পক্ষে সম্ভব হবে না বলেও বিরূপ মন্তব্যের ঝড় তুলেছিল ষড়যন্ত্রকারীরা।
করোনা মহামারির মধ্যেও পুরোদমে চলেছে সেতুর নির্মাণ কাজ। আপনার অদম্য ইচ্ছা শক্তির কারণে সেতুর কাজ একদিনের জন্যও বন্ধ হয়নি। আল্লাহর মেহেরবানীতে করোনা প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে পদ্মা সেতুর কাজ এগিয়ে নেওয়া হয়েছে। সবাই যখন দেখল আপনার নেতৃত্বে সেতুর কাজ এগিয়ে যাচ্ছে, তখন কিছু অসাধু ও ষড়যন্ত্রকারী গুজব ছড়াতে থাকে।
সেতু তৈরিতে মানুষের মাথা লাগবে বলে গুজব ছড়ানো হয়। আল্লাহর রহমতে দক্ষতার সঙ্গে সরকার এ ধরনের গুজবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে গুজবকে গুজবে পরিণত করেছেন। ফলে কিছু জনগণের মনে যে শংকার সৃষ্টি হয়েছিল সেটা দুরিভূত দূরীভূত হয়।
আপনি পদ্মা সেতুর জন্য একটি বড় ঝুঁকি নিয়েছিলেন এবং আল্লাহর রহমতে আপনি জিতেছেন। বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই একটি উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। পদ্মা সেতু দেশকে আরও এগিয়ে নেবে। আপনার বিচক্ষণতায় ও বুদ্ধিমত্তায় এবং বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশকে উন্নত দেশের কাতারে নিয়ে যেতে এই সেতু অনন্য ভূমিকা রাখবে। ২৫ জুন উন্মুখ হতে যাওয়া বহুল প্রতীক্ষিত পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে এবং জাতির ভরসাও বাড়িয়ে দিয়েছে।
এক্ষণে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জনগোষ্ঠীর পক্ষ থেকে মহান আল্লাহর প্রশংসা করছি এবং শুকরিয়া আদায় করছি।
পরিশেষে আপনাকে প্রাণঢালা অভিনন্দন জানিয়ে আমার ক্ষুদ্র অভিনন্দন বার্তাটি লেখা এখানেই শেষ করছি।
শামচুন নাহার চৌধুরী রোজী
পিতাঃ শামসুদ্দীন আহমেদ চৌধুরী
গ্রামঃ উৎরাইল (চৌধুরী বাড়ী)
উপজেলাঃ শিবচর
জেলাঃ মাদারীপুর।