প্রতিনিধি,কালকিনি
মাদারীপুরের কালকিনিতে ৪ জন মাদ্রাসা ছাত্রকে বেত দিয়ে পিটিয়ে যখম করার অভিযোগ উঠেছে এক মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
আহতরা হলেন বাশগাড়ি ইউনিয়নের খাশের হাট বন্দরের খাশের হাট নূরানীয়া হাফিজিয়া এতিম খানা মাদ্রাসার শিক্ষার্থী
মো. আবির হোসেন (৮), সাব্বির (৭), সাইম(৭) ও জোবায়ের (৮)। তারা সকলেই ওই গ্রামের বাসিন্ধা। শুক্রবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ভূক্তভোগী পরিবার ও।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। এরপর থেকে অভিযুক্ত শিক্ষক তোফায়েল আহম্মদ পালাতক রয়েছেন।
কালকিনি ইউএনও এবং ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ঘটনা স্থান পরির্দশ করেন।পরে কালকিনি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো: আশ্রাফুজ্জামানকে আহবায়ক করে ৩ সদস্যর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন,কালকিনি উপজেলা আইসিটি অফিসার আরিফুল ইসলাম,কালকিনি উপজেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ফিল্ড অফিসার মো: হাবিব উল্লাহ।
পুলিশ ও ভুক্তভোগীরা জনান, বিকেলে মাদ্রাসার ছাদে ছাত্ররা খেলা করার সময় একটি হনুমান আসে ছাদের উপর। এ সময় ছাত্ররা হনুমানকে বেশ কিছু ঢিল ছুড়ে মারে।এ ঢিল ছোরাকে কেন্দ্র করে মাদ্রাসার প্রধান হুজুরের কাছে বিচার দিলে হুজুর তাদের বকাঝকা দিয়ে আসরের নামাজ পড়তে চলে যান। এর পর মাদ্রাসার শ্রেনী শিক্ষক হাফেজ তোফায়েল আহম্মেদ শিক্ষার্থী আবির হোসেন, সাব্বির আহম্মেদ, সাইম প্যাদা ও জোবায়েরকে বেতদিয়ে পিটিয়ে আহত করেন। আহতরা চিৎকার করলে তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে লাথি ও কিল ঘুষি দিয়ে যখম করেন। এতে সাইম প্যাদার হাত যখম হয় ও আবির হোসেন এর বাম হাতের আঙ্গুল ভেঙ্গে যায়। তারা উভয় প্রথম জামাতের ছাত্র। এ ঘটান জানাজানি হলে অভিভাবকসহ অন্যান্যরা মাদ্রাসা ঘিরে রাখে। এ সময় স্থানীয় প্রভাবশালিরা পরিস্থিথি নিয়ন্তনে আনার চেষ্ঠা করেন। এর মধ্যে অভিযুক্ত শিক্ষক তোফায়েল আহম্মদ পালিয়ে যান। পরে খবর পেয়ে কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার দাস ও কালকিনি থানা ওসি নাজমুল হাসান ঘটনা স্থানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। পরে অসুস্থ শিক্ষার্থী দের বাড়িতে গিয়ে তাদের ও তাদের বাবা মায়ের সাথে এ ব্যাপারে আলোচনা করেন। এর পরপর শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার ব্যাবস্থা করেন। এ সময় ঘটনা তদন্তে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করেন।
আহত শিশু শির্ক্ষার্থী মো. আবির হোসেন বলেন, আমিসহ আমাদের চারজনকে মাদ্রাসার দরজা বন্ধ করে হাতে, পিঠে, পায়ের নিচে ও শরীরের বিভিন্নস্থানে লাঠি দিয়ে পিটিয়েছে এবং লাথি মেরেছে আমাদের হাফেজ হুজুর।
আহত শিক্ষার্থীর পিতা নাসির খান বলেন, তোফায়েল হুজুরে পিটিয়ে আমার ছেলের আঙ্গুল ভেঙ্গে দিয়েছে। আমি তার বিচার চাই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির একজন সদস্য ক্ষোভের সাথে বলেন, শিক্ষকদের কাজ শিক্ষা দান করা। কিন্তু আমাদের মাদ্রাসার র্শিক্ষকরা এমন কাজ করেছে যা মেনে নেয়া যায় না। তবে আমাদের কমিটির সমন্বয়হীনতার কারনে বারবার এ ধরনের কাজ করার সাহস পাচ্ছে শিক্ষকরা।
কালকিনি থানার ওসি মো. নাজমুল হাসান বলেন, শিক্ষদের এমন কাজ মেনে নেয়া যায় না। তদন্ত করে অবশ্যই বিচারের আওতায় আনা হবে।
কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার দাস বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনা হয়েছে। অসুস্থ শিক্ষার্থী দের বাড়িতে গিয়ে তাদের ও তাদের বাবা মায়ের সাথে এ ব্যাপারে আলোচনা করা হয়।এছাড়াও শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার ব্যাবস্থা করেছি।এবিষযে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে
Leave a Reply