মাদারীপুর প্রতিনিধিঃ
মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ল্যাপটপ ও প্রজেক্টরসহ কাগজ পত্র চুরির ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়। খবর পেয়ে আজ সকালে পুলিশ ঘটনা স্থান পরির্দশন করেন।
চুরি হওয়া বিদ্যালয়গুলো হচ্ছে ৬২ নং উত্তর রমজানপুর পাবলিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,উত্তর রমজানপুর নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়,উত্তর রমজানপুর জিন্নাতিয়া মাদ্রাসা,৯৬ নং পশ্চিম রমজানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উত্তর রমজানপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়।
স্কুল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়,কালকিনি উপজেলার রমজানপুর ইউনিয়নের পাঁচটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালা ভেঙ্গে বিদ্যালয়ের শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবের ল্যাপটপ,প্রজেক্টরসহ গুরুত্বপুর্ন কাগজপত্র চুরি করে নিয়ে যায়।পরে সকালে ঘুম থেকে উঠে নৈশ প্রহরী,ওই কক্ষের তালা ভাঙ্গা ও রুমের মালামাল এলোমেলো দেখতে পেয়ে স্কুল কতৃপক্ষকে জানায়।স্কুলের প্রধান শিক্ষকগন বিষয়টি কালকিনি থানা পুলিশকে খবর দিলে, কালকিনি থানার ওসি মোঃ শামিম হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে পরির্দশন করেন।
এদিকে ৬২ নং উত্তর রমজানপুর পাবলিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের থেকে রুমের তালা ভেঙ্গে ১টি ল্যাপটপ নিয়ে যায়।
উত্তর রমজানপুর জিন্নাত আলী মাদ্রাসায় থেকে কাগজ পত্র ও ১টি ঘন্টা বাজানো বেল নিয়ে যায়।
উত্তর রমজানপুর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে কাগজপত্র অন্যান্য মালামাল চুরি হয়।
একই রাত্রে ৬৬ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে তালা ভেঙ্গে কিছু না পেয়ে চোরের দল কাগজ পত্র এলোমেলো করে রেখে যায়।
উত্তর রমজানপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী মোঃ সোহেল রানা বলেন,আমি প্রতিদিনের মত স্কুলের আশেপাশে ও সব রুমে তালা ঠিক আছে কিনা দেখে রাত ১ টা পর্যন্ত পাহারা দিচ্ছিলাম এর পরে ঘুমিয়ে পরলে আমার রুমের বাহির থেকে ছিটকানি দিয়ে প্রধান শিক্ষকের রুমে রাখা ৫ টি ল্যাপটপ ও ১টি প্রজেক্টর নিয়ে যায়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রমনী কান্তি ভক্ত বলেন, সকালে আমাকে নৈশ প্রহরী চুরির খবর জানিয়েছ।
কালকিনি থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শামীম হোসেন চুরির সত্যতা স্বীকার করে বলেন,ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছি।বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ মামলা দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।