মাদারীপুর প্রতিনিধিঃ
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মাদারীপুরের কালকিনিতে বর্তমান ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় বেশ কয়েকটি বোমা বিস্ফোরনের ঘটনা ঘটে। এতে করে কমপক্ষে সাতজন লোক আহত হয়।
পরে আহতদেরকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
গতকাল (সোমবার) সন্ধ্যার দিকে এ ঘটনার সুত্রপাত হণেও আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার আলীনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে ভূক্তভোগী পরিবার। পরে থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে একজন আসামীকে গ্রেফতার করেছে। তবে ঘটনার পর থেকে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ান রয়েছে।
অপরদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার পিংকি সাহা, জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যা মোঃ শহিদুল ইসলাম।
পুলিশ ও ভূক্তভোগী পরিবার সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার আলীনগর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান সাহিদ পারভেজের সঙ্গে একই ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান মিলনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত দ্বন্দ্ব চলে আসছে। এর জের ধরে উভয় পক্ষের সমর্থকদের সাথে দফায়-দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এবং এসময় বেশ কয়েকটি বোমা বিস্ফোরনের ঘটনা ঘটে। এতে করে বর্তমান চেয়ারম্যান সাহিদ পারভেজের সমর্থক রিপন হাওলাদার, রুমি হাওলাদার, আবু সাঈদ ও ইমরানসহ ৭জন আহত হয়। পরে আহতদেরকে উদ্ধার জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিকে এ ঘটনায় ১৬জনকে আসামী করে কালকিনি থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে বর্তমান চেয়ারম্যানের সমর্থক ভূক্তভোগী দেলোয়ার হাওলাদার। পরে থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে সালাম সরদার নামে একজন আসামীকে গ্রেফতার করেন। এদিকে ঘটনার পর থেকে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ান করা হয়েছে। তবে এই ঘটনার পর পুলিশের তৎপরতার কারনে বড়ধরনের সংঘর্ষের ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সাধারন জনগন।
মামলার বাদী দেলোয়ার হাওলাদার বলেন, আমার লোকজনের উপর হামলা চালিয়েছে মিলন সরদারের লোকজন। তাই আমি তাদের নামে মামলা করেছি।
সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মিলন সরদার বলেন, আমার নিজের ব্যবসা পতিষ্ঠানে গেলে বাধা প্রদান করেন সাহেদ পারভেজের লোকজন।
বর্তমান চেয়ারম্যান সাহিদ পারভেজ বলেন, আমার সমর্থকদের উপর হামলা চালিয়ে আহত করেছে মিলন সরদারের লোকজন।
কালকিনি থানার ওসি মো. শামীম হোসেন বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা হয়েছে। এবং একজন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর ঘটনার পর থেকে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। তবে এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে সাথে-সাথে আমরা না গেলে বড়ধরনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতো।