মাদারীপুর প্রতিনিধি:
উন্নত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় একটু বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা দেখা দেয় মাদারীপুর পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায়। মাত্র একঘন্টার বৃষ্টি হলে জমে থাকা পানি নামতে লাগে ২৪ ঘন্টার বেশি সময়। এতে চরম দুর্ভোগে পৌরবাসী। অথচ নূণ্যতম এই নাগরিক সেবা না পাওয়া স্থানীয়দের পাশাপাশি ক্ষুব্ধ নাগরিক সমাজ।
সরেজমিনে দেখা যায়, মাদারীপুর পৌরসভার হামিদ আকন্দ সড়কে একটু বৃষ্টিতে তলিয়ে যায় পুরো সড়কের এক কিলোমিটার এলাকা। বৃষ্টির পানি নামতে না পারায় চরম দুর্ভোগে পৌরবাসী। একই অবস্থা ডা. অখিল বন্ধু সড়ক, শহীদ মানিক সড়ক, মন্টু ভুইয়া সড়ক, শহীদ বাচ্চু সড়কসহ অধিকাংশ সড়কের। বৃষ্টি হলেই সড়কগুলোতে দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। মাত্র একঘন্টার বৃষ্টির পানি নামতেই লাগে ২৪ ঘন্টার বেশি সময়। কয়েক বছর ধরে এই অবস্থা চললেও উদাসীন কর্তৃপক্ষ। ফলে সমস্যা নিয়েই বসবাস করছেন পৌরবাসী। আর দুর্ভোগের শেষ নেই যাত্রী, চালক ও পথচারীর।
মাদারীপুর পৌরসভা সূত্র জানায়, ১৮৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত সাড়ে ১৪ বর্গ কিলোমিটারের মাদারীপুর পৌরসভা ১৯৯১ সালে প্রথম শ্রেণির পৌরসভার মর্যাদা পায়। ভুমি কর, ট্রেড লাইসেন্স, জন্ম-মৃত্যু সনদসহ বিভিন্ন খাতে প্রতিবছরই একশো কোটি টাকা আয় করছে পৌর কর্তৃপক্ষ। পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের ৩৪টি মৌজায় দুই লাখ মানুষের বসবাস। গত ৫ বছরে বিভিন্ন প্রকল্পে ৭০ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ করেছে পৌর কর্তৃপক্ষ।
মাদারীপুর পৌরসভার বাসিন্দা আরাফাত শরিফ বলেন, একটু বৃষ্টি হলেই পৌরসভার বিভিন্ন অলিগলি পানিতে তলিয়ে যায়। এতে চলাচলে ভোগান্তি বাড়ে। এমনিক বাড়িঘরেও পানিও উঠে যায়। কবে এর থেকে মুক্তি মিলবে কেউ জানে না।
মাদারীপুর সচেতন নাগরিক কমিটির সদস্য খান মো. শহীদ বলেন, পৌরবাসী পৌর কর দিয়ে নাগরিক সুবিধা পাবে এটাই নিয়ম। কিন্তু সামান্য বৃষ্টিতে পৌরসভায় জলাবদ্ধতা এটা কাম্য নয়। সবার একটাই প্রত্যাশা শিগগিরই আধুনিক ড্রেন নির্মাণ করে স্থায়ীভাবে এই জলাবদ্ধতা থেকে পৌরবাসী মুক্তি পাবে।
মাদারীপুর পৌরসভার মেয়র খালিদ হোসেন ইয়াদ জানান, দীর্ঘদিনের এই সমস্যা থেকে বাঁচতে হাতে নেয়া হয়েছে বৃহৎ প্রকল্প। আধুনিক ড্রেনেজ ব্যবস্থা নির্মাণ শেষ হলে আর কোন সমস্যা থাকবে না। এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে সময় লাগবে অন্তত দুই বছর।