শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি:
মাদারীপুর জেলার শিবচরের পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ১৮ টি ড্রেজার জব্দ করেছে নৌপুলিশ। এসময় আটক করা হয়েছে ১১ জনকে।
পদ্মানদীর শিবচর অংশের বিভিন্ন স্থান থেকে বুধবার(৮ নভেম্বর) সকালে ড্রেজারগুলো জব্দ করা হয়। এরা অবৈধ ভাবে পদ্মানদী থেকে ড্রেজারের মাধ্যমে বালু উত্তোলন করছিল বলে নৌপুলিশ জানিয়েছে। এসময় আটক করা হয়েছে ১১ জন।
আটককৃতরা হলো, বরগুনার আমতলী এলাকার জসিম হাওলাদার(৩৭), পটুয়াখালীর গলাচিপা এলাকার শামিম (১৯), কলাপাড়া এলাকার শহিদুল গাজী(৫০), পাবনার রতন শেখ(৩৭), শেরপুরের নুরুল ইসলাম মন্ডল(৪০), মো. মজিদ (৩৮), বরিশালের রিয়াজ, লক্ষ্মীপুরের নুরে আলম(২৩), যশোরের আল আমিন (২৭), শরিয়তপুরের আনোয়ার হোসেন(৪০)। অন্যজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
জানা গেছে, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে মাদারীপুর জেলার শিবচরের চরজানাজাত ইউনিয়নসহ পদ্মানদীর বিভিন্ন অংশে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমান আদালত ও নৌ পুলিশের টিম। এসময় বালু উত্তোলন অবস্থায় ১৮ টি ড্রেজার জব্দ করেন তারা। আটক করেন ড্রেজারে থাকা ১১ জনকে। দীর্ঘদিন ধরেই পদ্মা নদী থেকে অবৈধ ভাবে একটি চক্র বালু উত্তোলন করে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে বিক্রি করে আসছিল চক্রটি।
শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) রাজিবুল ইসলাম এর নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালতের টিম এবং চরজানাজাত নৌপুলিশ যৌথ ভাবে পদ্মা নদীতে এই অভিযোন পরিচলনা করেন। এসময় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিয়াজুল আলমও উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে।
চরজানাজাত নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো. সফিকুর রহমান খান বলেন,‘শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালতের টিম এবং নৌ পুলিশ যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করে এই ড্রেজার জব্দ করে। আটককৃতদের নামে বালুমহাল আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।’
শিবচর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিয়াজুল আলম বলেন,‘বুধবার সকালে পদ্মানদীতে অভিযান চালিয়ে মোট ১৮ টি ড্রেজার জব্দ করা হয়েছে। ড্রেজারে থাকা ১১ জনকে পুলিশ আটক করে। ড্রেজারগুলো নৌপুলিশের হেফাজতে রয়েছে।’