1. rafiqulislamnews7@gmail.com : Rafiqul Islam : Rafiqul Islam
  2. jmitsolutionbd@gmail.com : jmmasud :
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৫৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
শিবচরে যাত্রীবাহী বাস উল্টে নিহত ১,স্ত্রী ও ছেলেসহ আহত ১০ শিবচরে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহের সমাপনী অনুষ্ঠিত শিবচরে ভোটের দরকার হচ্ছে না,তিন প্রার্থী জয়ের পথে প্রতিষ্ঠাবাষিকী উপলক্ষে হতদরিদ্র শিক্ষার্থীর মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করলো তারুণ্যের শক্তি  ফাউন্ডেশন মাদারীপুরে ৫টি চোরাই মোটরসাইকেলসহ তিনজন গোয়েন্দা পুলিশের জালে শিবচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিভিন্ন পদে ৬ জনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শিবচরের সালেহ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক আবশ্যক শিবচরে প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে দুই ভাই আহত সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে’: চিফ হুইপ কালকিনিতে জমি নিয়ে বিরোধেরে জেরে অস্ত্রের মহড়া, ককটেল বিস্ফোরণ

অধ্যক্ষের অপসারণ ও ২৪ মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে মানববন্ধন

  • প্রকাশিত : সোমবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২২, ৩.২২ পিএম
  • ৩৫৯ জন সংবাদটি পড়েছেন।

মাদারীপুর প্রতিনিধি:

মাদারীপুরের কালকিনি সৈয়দ আবুল হোসেন কলেজের অধ্যক্ষ হাসানুল সিরাজীর বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা, শিক্ষক, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের হয়রানী, নারী শিক্ষকদের সাথে অশালীন আচরণ, একই সাথে দুই কলেজের অধ্যক্ষ পদে কর্মরত থাকাসহ বিভিন্ন অভিযোগে অধ্যক্ষের অপসারণ ও শিক্ষক-কর্মচারীদের ২৪ মাসের বকেয়া বেতন-ভাতাদির দাবিতে মানববন্ধন করেছে কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ।

সোমবার সকাল ৯টায় কালকিনি প্রেসক্লাবের সামনে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়।

মানবববন্ধনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, অধ্যক্ষ স্যার আমাদের ক্লাশের কখনও কোন খোঁজ খবর নেন না, ক্লাশরুমগুলোর খুবই বেহালদশা। আমাদের থাকার মতো কোন হোস্টেল নেই। অথচ আমরা করোনকালীন সময়েও বেতন-ভাতাদি প্রদান করেছি। আমাদের কোন প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের জন্য স্যারের কাছে গেলে স্যার আমাদের বিভিন্ন অজুহাতে হয়রানী করেন। এসময় শিক্ষার্থীরা একাডেমিক কার্যক্রমের অচলাবস্থার জন্য অধ্যক্ষকে দায়ী করে তার পদত্যাগ দাবিতে শ্লোগান দেয়।

মানববন্ধনে অভিভাবকরা অভিযোগ করে বলেন, কালকিনি সৈয়দ আবুল হোসেন কলেজের সুনাম শুনে আমাদের সন্তানদের ভর্তি করেছি। কিন্তু এখন দেখি সেখানে নানা ধরণের অব্যবস্থাপনা। আমরা সন্তানদের একটি প্রত্যয়নপত্র কিংবা কোন কাগজপত্র আনতে গেলে অধ্যক্ষ স্যার দিনের পর দিন ঘুরান এবং বিভিন্ন ধরণের জটিলতা তৈরি করেন। আমরা তার কাছে অভিভাবক হিসেবে তেমন কোন সম্মানও পাই না। তার অব্যবস্থাপনার কারণে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে, যার বিরূপ প্রভাব আমাদের সন্তানদের ফলাফলের উপর পড়ছে। অধ্যক্ষ আসলে শিক্ষার্থীবান্ধব নন, তার অপসারণের দাবি জানাচ্ছি।

মানববন্ধনে প্রভাষক আজিজুল ইসলাম বলেন, কালকিনি সৈয়দ আবুল হোসেন কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে মো. হাসানুল সিরাজী যোগদানের পরই কলেজের ধ্বংস শুরু হয়েছে। তিনি কলেজে এসেই শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে গ্রæপিং সৃষ্টি করেন এবং একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন। অধ্যক্ষ কলেজে যোগদান করার সময় বিশাল অংকের কলেজ ফান্ড ছিল। তিনি এসেই তার বাসভবন সংস্কারের, শিক্ষক মিলনায়তন সংস্কারসহ বিভিন্ন কাজের অজুহাতে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মাসাৎ করেছেন।

প্রভাষক আয়শা খানম বলেন, অধ্যক্ষের অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির কারণে শিক্ষক-কর্মচারীরা দীর্ঘ ২৪ মাস যাবৎ কোন প্রকার বেতন-ভাতাদী পাচ্ছেন না। এছাড়া ২০১৯ সাল থেকে অনুষ্ঠিত পরীক্ষার পারিশ্রমিকও তারা পান নাই। এর ফলে শিক্ষক-কর্মচারীরা অর্ধাহারে অনাহারে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন।

প্রভাষক মো. মজিবুর রহমান বলেন, করোনাকালীন সময়ে শিক্ষার্থীরা বেতনসহ অন্যান্য ফি প্রদান করেছে কিন্তু এই সময়ে কলেজের কোন প্রকার উন্নয়ন কাজ হয়নি এবং উক্ত সময়ের আগ থেকেই শিক্ষক-কর্মচারীদের ২৪ মাসের বেতন-ভাতাদি বকেয়া রয়েছে। তাহলে ঐ সময়ের আয়ের অর্থ কোথায় গেল? কলেজের অভ্যন্তরীণ হিসাব নিরীক্ষার জন্য দুটি কমিটি গঠন করা হলেও অধ্যক্ষের অসহযোগিতার কারণে অডিট করা সম্ভব নয় নাই। অধ্যক্ষের আর্থিক দুর্নীতি প্রকাশ পাবে বিধায় তিনি অডিট করতে বাঁধা দেন।

সহকারী অধ্যাপক মো. গোলাম কিবরিয়া বলেন, কালকিনি উপজেলায় কোন কলেজ সরকারি না থাকা সত্তে¡ও অধ্যক্ষকে কালকিনি সৈয়দ আবুল হোসেন কলেজ সরকারিকরণের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য শিক্ষক ও পরিচালনা পর্ষদের পক্ষ থেকে বার বার বলা সত্তে¡ও তিনি তাতে কোন প্রকার সহযোগিতা করেন না। বরং তিনি কলেজ জাতীয়করণের পথে বিভিন্ন প্রকার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন।

মানববন্ধনে প্রভাষক নাজমুন্নাহার বলেন, অধ্যক্ষ সবসময় শিক্ষক, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের হয়রানী করে থাকেন। এমনকি নারী শিক্ষকদের পোশাক নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন। তিনি কলেজের অনার্স শাখাকে বন্ধ করার জন্য বিগত কয়েক বছর যাবৎ জাতীয় বিশ^বিদ্যালয় থেকে অধিভুক্তি নবায়ন করেন নাই।

সহকারী অধ্যাপক আলমগীর হোসেন বলেন, অধ্যক্ষ মো. হাসানুল সিরাজী কালকিনি সৈয়দ আবুল হোসেন কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে কর্মরত থাকাবস্থায় বিগত ২০২০ সালের ২২ মার্চ থেকে প্রায় ৪ মাস বাগেরহাট জেলার কাজি আজাহার আলী কলেজ কর্মরত ছিলেন। এছাড়া তিনি বিভিন্ন পাবলিক ও অভ্যন্তরীণ পরীক্ষায় একাই সকল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন, যার ফলে পরীক্ষায় বিভিন্ন অনিয়ম ও জটিলতা দেখা যায়। এসব অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার কারণে স্থানীয় প্রশাসন ও বোর্ড কর্তৃক তাকে একাধিকবার কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করায় কলেজটির ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে। আমরা অধ্যক্ষের তদন্তপূর্বক অবিলম্বে অপসারণ ও ২৪ মাসের বকেয়া বেতন-ভাতাদী দাবি করছি।
মানববন্ধনে কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published.

© All rights reserved © 2022
Don`t copy text!