“উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো.রফিকুল ইসলাম বলেন,’ আজ প্রথম দিন হেসেবে ছাত্র ছাত্রীদের অনেক উপস্থিতি দেখা গেছে।আমরা ৫/৬ টি বিদ্যালয় পরিদর্শন করেছি।এছাড়া উপজেলার নদ-নদী বেস্টিত চরাঞ্চলের ১৮ টি বিদ্যালয় এখনো বন্যার পানিতে নিমজ্জিত। শিক্ষক উপস্থিত হলেও সকল শিক্ষার্থীদের পক্ষে ওই বিদ্যালয়গুলোতে উপস্থিত হওয়া সম্ভব হয়নি। ফলে পাঠদান ব্যহত হয়েছে সেখানে। এছাড়া আরও ৮ টি বিদ্যালয় যেগুলোতে বন্যার্ত অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন সেখানে আংশিক ক্লাশ হয়েছে। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম ছিল’।
প্রতিনিধি শিবচরঃ
দীর্ঘ দেড় বছর পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুললেও শিবচরে পানিবন্দী ১৮ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান ব্যহত হয়েছে। বিদ্যালয়গুলির চারপাশে ও কয়েকটি বিদ্যালয়ের নিচ তলায় পানি থাকার কারণে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে যেতে পারেনি।এছাড়াও আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত আরো ৮ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি ছিলো বেশকম ছিলো বলে জানান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা । তবে বন্যা কবলিত ২৬ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই শিক্ষকগন উপস্থিত ছিলেন বলে জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ক্লাশ শুরুর প্রথম দিনে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই ক্লাশ নিয়েছে। শ্রেনি কক্ষে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে আসন বিন্যাস করেছে।অনেক বিদ্যালয়ে তাপমাত্রা পরিমাপ, হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ প্রথম দিনে সুশৃঙ্খল ভাবেই ক্লাশ সম্পন্ন হয়।এছাড়া দীর্ঘ দিন পরে বিদ্যালয়ে আসা শিক্ষার্থীদের মানসিক ভাবে উজ্জীবিত করতে শ্রেনি কক্ষে ‘মোটিভেশনাল’কার্যক্রম করা হয় বলে বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যালয় খোলার প্রথম দিনটিকে ঘিরে বেশ কয়েকদিন আগেই শ্রেনিকক্ষ পরিস্কার- পরিচ্ছন্নসহ সকল আয়োজন সম্পন্ন করেছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে শিবচর উপজেলার ১৮০ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্য পদ্মা ও আড়িয়াল খাঁ বেস্টিত চর এলাকার ২৬ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান অনিশ্চয়তার মধ্যে ছিল। এসকল বিদ্যালয়ের মধ্যে ১৮ টি বিদ্যালয় পুরোপুরি পানিতে প্লাবিত হয় ও ৮ টি বিদ্যালয় কোন মতে খোলা সম্ভব হয়।গত দুই দিনে পানি কমতে থাকায় বিদ্যালয় গুলোতে আজ আংশিক শ্রেনি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।তবে ৮ টি বিদ্যালয়ে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে এলাকার লোকজন ব্যবহার করলেও প্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্র ছাত্রী না আশায় পাঠদান ব্যহত হয়েছে।
শিবচরের মাদবরেরচর আর এম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল মোতালেব শিকদার বলেন,’অনেক দিন পর শিক্ষার্থীরা শ্রেনিকক্ষে ফিরতে পেরে আনন্দিত ছিল। আমাদের শিক্ষকদের মধ্যেও ছিল উচ্ছ্বাস। আমরা এখন থরকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পাঠদান করে যাবো।’
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোফাজ্জেল হোসেন বলেন,’উপজেলার সকল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান হয়েছে। বিদ্যালয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাতে শিক্ষার্থীদের প্রবেশ এবং পাঠদান চলে সেই বিষয়টি আমরা মনিটরিং করছি।’
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো.রফিকুল ইসলাম বলেন,’ আজ প্রথম দিন হেসেবে ছাত্র ছাত্রীদের অনেক উপস্থিতি দেখা গেছে।আমরা ৫/৬ টি বিদ্যালয় পরিদর্শন করেছি।এছাড়া উপজেলার নদ-নদী বেস্টিত চরাঞ্চলের ১৮ টি বিদ্যালয় এখনো বন্যার পানিতে নিমজ্জিত। শিক্ষক উপস্থিত হলেও সকল শিক্ষার্থীদের পক্ষে ওই বিদ্যালয়গুলোতে উপস্থিত হওয়া সম্ভব হয়নি। ফলে পাঠদান ব্যহত হয়েছে সেখানে। এছাড়া আরও ৮ টি বিদ্যালয় যেগুলোতে বন্যার্ত অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন সেখানে আংশিক ক্লাশ হয়েছে। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম ছিল।’
Editor In Chief : Md.Rafiqul Islam Raza
Sub-Editor : Abu Saleh Mussa
Design & Developed By: JM IT SOLUTION
Leave a Reply