স্টাফ করেসপন্ডেন্টঃ
শিবচরে মীম (২০) নামে এক গৃহবধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারী) সন্ধা ৬ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মীম শিবচর উপজেলা চত্বর সংলগ্ন বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার হাজী শিরাজুল ইসলামের ছেলে ইতালী প্রবাসী জুবায়ের হোসেনের স্ত্রী ও উপজেলার খানকান্দি(নলগোড়া) গ্রামের মিজানুর রহমান খানের মেয়ে।
পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, তিন মাস আগে মীমের সাথে ইতালি প্রবাসী জুবায়ের হোসেনের প্রেমের সুত্রধরে বিবাহ হয়।গত ১৫ দিন আগে জুবায়ের ইতালী থেকে দেশে আসেন।আজ দুপুরে জুবায়ের-এর পরিবারে সবাই একসাথে দুপুরের খাবার খেয়ে বিশ্রাম করতে থাকেন।বিকালের দিকে জুবায়ের তার শ্বশুরবাড়িতে মীমকে রেখেই ঘুরতে যান।সন্ধার দিকে জুবায়েরের মা মীমকে নামাজ পড়তে ডাক দেন ও রুমের দরজা ধাক্কা দেন।এসময় ভিতর থেকে রুমের দরজা বন্ধ পাওয়া যায়।পরে জুবায়েরের মা জুবায়েরকে ফোনে বিষয়টি জানান।পরে জুবায়ের এসে পরিবারের লোকজনসহ দরজা ভেঙ্গে মীমকে রুমের সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান।পরে তাকে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।পরে সেখান থেকে জুবায়ের ও তার শ্বাশুড়ী (মীমের মা) নিজ দ্বায়িত্বে মিতুকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুরে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উদ্দেশ্যে নিয়ে যান।পরে সেখানেই তার মৃত্যু হয় বলে জানা যায়।
এদিকে খবর পেয়ে শিবচর থানার ওসি মিরাজ হোসেনসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন।তবে তারা আসার পূর্বেই মিতুকে নিয়ে তার পরিবারের লোকজন ফরিদপুরের উদ্দেশ্য রওনা হয়ে যান।
মীমের বাবা মিজানুর রহমান বলেন,” আমার জামাতার সাথে মীমের আগে পরে কোন ঝামেলা ছিলো না।আজ সন্ধার দিকে জুবায়ের আমাকে ফোন দিয়ে মীম ঘরের দরজা বন্ধ করে রেখেছে বলে আমাকে জানান।পরে আমি তাদের দরজা ভেঙ্গে ফেলতে বলি ও আমি সেখানে যাই।গিয়ে দেখে নামাইতেছে।এখন কেমনে মরছে নাকি ওকে মেরে ঝুলিয়ে রাখছে সেটা আমি জানি না’
এ বিষয়ে শিবচর থানার পরিদর্শক( তদন্ত) আমির হোসেন সেরনিয়াবাদ বলেন,মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর জেলা পুলিশ গ্রহন করেছে।তবে শিবচর থানায় একটি মামলা করার প্রক্রিয়া চলছে।
Leave a Reply