আবু মুছা রওসাদ,
সিনিয়র ষ্টাফ করেসপন্ডেন্ট
মাদারীপুরের শিবচরে দোকানে ডেকে নিয়ে গলায় ধারালো ছুরি ঠেকিয়ে ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে প্রতিবেশী মুরগীর দোকানদার সোহান মাদবরের (২০) বিরুদ্ধে।
গত রবিবার ১৪ মার্চ দুপুরে মাদবরচর হাটে ধর্ষক সোহান তার নিজের মুরগীর দোকানের ভিতরে নিয়ে শিশুটিকে ধর্ষণ করে। পরে কাউকে বললে শিশুটিকে ছুরি দিয়ে জবাই করার ভয় দেখিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। শিশুটি মাদবরচর খাড়াকান্দি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেনিতে পড়ে।
ধর্ষক সোহান উপজেলার মাদবরচর খাড়াকান্দি গ্রামের লাবলু মাদবরের ছেলে।
ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত রবিবার দুপুরে শিশুটি বন্ধুদের নিয়ে মাদবরচর হাটের কাছে বাড়ির সামনে খেলাধুলা করছিল। ওকে একটি মুরগী দিবে বলে ধর্ষক সোহান মাদবর শিশুটিকে ডেকে তার দোকানে নিয়ে যায়। ধর্ষক সোহান মাদবর ও শিশুটির বাড়ি পাশাপাশি হওয়ায় সরল মনে সে তার সাথে দোকানে যায়। শিশুটিকে দোকানে নিয়ে দোকানের শাটার লাগিয়ে মুরগি কাটার ধারালো ছুটি গলায় ধরে ভয় দেখায়ে ধর্ষণ করে সোহান মাদবর। শিশুটিকে মুখচেপে ধরে বলে যদি কারো কাছে বলিস, তাহলে- এই ছুরি দিয়ে তোকে কেটে নদীতে ভাসিয়ে দিব। এক পর্যায়ে প্রচুর রক্তক্ষরণ শুরু হয় শিশুটির। পরে রক্ত মুছে দিয়ে ভয় দেখায়ে শিশুটিকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয় ধর্ষক। শিশুটি বাড়িতে এসে ভয়ে পরিবারের লোকজনকে না বলেই তার পরনের কাপড় ঘরের এককোনে লুকিয়ে রাখে। ওই দিনই শিশুটি অসুস্থ্য হয়ে বিছানায় পড়ে যায়। ৩/৪দিন পর শিশুটির মা ঘরের কোণে রক্তমাখা কাপড় দেখে শিশুটিকে জিজ্ঞেস করলে শিশুটি ধর্ষণের ঘটনার বিস্তারিত তার মাকে জানায়। বিস্তারিত শুনে ধর্ষক সোহান মাদবরের বিরুদ্ধে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে শিশুটির বাবা বাদী হয়ে শিবচর থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
শিশুটির নানী লায়লা বেগম বলেন, আমার নাতির বয়স মাত্র ৭ বছর। বন্ধুদের নিয়ে বাড়ির সামনেই খেলছিল আমার নাতি। ওকে মুরগি দেওয়ার কথা বলে দোকানে নিয়ে ধর্ষণ করে লম্পট সোহান মাদবর। আমরা ওই লম্পটের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড চাই।
শিবচর থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ মিরাজ হোসেন জানান, শিশুটিকে ধর্ষনের ঘটনায় শিবচর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছে শিশুটির বাবা। অভিযুক্ত সোহান মাদবর পলাতক আছে। পুলিশ অভিযুক্ত সোহান মাদবরকে গ্রেফতারের জন্য মাঠে কাজ করছে।
Leave a Reply