মাদারীপুর প্রতিনিধিঃ
মাদারীপুর সদর,কালকিনি ও শিবচর পৌরবাজারে বেশি দামে তেল বিক্রির অভিযোগে দুই ব্যবসায়ীকে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।এসময় আরেক ডিলারকে ৩ দিনের তেল বিক্রির নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে সদর উপজেলার তাতীবাড়ি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে জেলার ভোক্তা অধিকারের সহকারী পরিচালক জান্নাতুল ফেরদৌস।
এসময় সিটি গ্রুপের সান কোম্পানির ডিলার সিফাত এন্টারপ্রাইজের মালিক বিল্লাল খানকে ৫০ হাজার জরিমানা করা হয়।এসময় ঘটনাস্থল থেকে ৬৭২ লিটার তেল জব্দ করে।পরে জব্দ করা সয়াবিন তেল সরকার নির্ধারিত দামে স্থানীয় ক্রেতাদের মাঝে বিক্রি করা হয়।
দুপুরে কালিকিনিতে অবৈধভাবে সয়াবিন তেল মজুদের অপরাধে এক শাহজালাল এন্টারপ্রাইজকে নগদ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এসময় অবৈধভাবে মজুদ করে রাখা গুদামে অভিযান চালিয়ে তেলসহ অর্ধশত সয়াবিন তেলের বোতল জব্দ করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
জানা যায়, মজুদ করে প্রতিটি তেলের বোতলের গায়ের প্রকৃত মূল্য মুছে ফেলে মোড়কের গায়ে নতুন সিল লাগানোর দায়ে কালকিনি ভুরঘাটা স্ট্যান্ডে শাহজালাল এন্টারপ্রাইজ নামে একটি প্রতিষ্ঠান। পরে জব্দকৃত তেল জনসাধারণের মাঝে ন্যায্যমুল্য বিক্রি করা হয়।ভ্রাম্যমানন আদালত পরিচালনা করেন কালকিনি উপজেলা ভুমি সহকারী কমিশনার ইমরান খান ও কালকিনি উপজেলা সেনেটারী ইন্সপেক্টর ইকরাম হোসেন প্রমুখ।
অন্যদিকে বিকেলে সাড়ে ৫ টার দিকে , শিবচর পৌর বাজারের মেসার্স শাকিল স্টোর নামে এক ডিলারের দোকানে অভিযান চালিয়ে ২ হাজার ৯শ ১৮ লিটার তেল পান। এসময় শাকিল স্টোরের মালিক জানান, উপজেলার বিভিন্ন এলাকার খুচরা দোকানদের অর্ডার ছিল এবং আগামীকাল বিতরণ করা হবে।পরে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের লোকজন উপজেলার বাহাদুরপুরসহ বেশকয়েকটি দোকানে খোজ-খবর নিলে অস্বীকার করেন দোকানীরা এবং দোকানীরা অভিযোগ করে বলেন ২/৩ মাস ধরে তেল দেয় না। পরে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক জান্নাতুল ফেরদৌস নিজে বসে দোকানী ও খুচরা ক্রেতাদের মাঝে ২২০০ লিটার তেল প্রতি ৫ লিটার প্রতি ৭৬০ টাকা করে বিক্রি করান এবং সয়াবিন তেল মজুদ রাখায় মেসার্স শাকিল স্টোরের তেলের গুদামকে আগামী তিনদিনের জন্য সিলগালা করা হয়েছে।
অভিযান শেষে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি সদর ও শিবচর উপজেলার কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অতিরিক্ত তৈল মজুদ করছে ও বেশি দামে বিক্রি করছে।কেউ ভোজ্যতেল মজুদ করতে পারবে না। সবার খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। অভিযান অব্যাহত থাকবে।পরে আমরা তাদের জরিমানা ও দোকান সিলগালা করি।
তিনি আরও বলেন, ‘অভিযোগ পেলে আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নেব। এ ছাড়া আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। এ পর্যন্ত জেলায় অন্য কোথাও তেল মজুত পাওয়া যায়নি। খবর পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
Leave a Reply