শিবচরনিউজ২৪ডেস্কঃ
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি আব্দুল মাজেদের ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয়েছে।
শনিরাব (১১ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে তার ফাঁসি কার্যকর করা হয়। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাহবুবুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
জল্লাদ শাজাহানের নেতৃত্বে মনির ও সিরাজের টিম। হ্যামার টেনে মাজেদকে ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে দেন।নতুন স্থাপিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে এটিই প্রথম ফাঁসি। এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যা মামলায় মোট ছয় জনের ফাঁসি কার্যকর হল।
এর আগে রাত ১০টা ৫২ মিনিটে কারাগারে গিয়ে পৌঁছেন কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোস্তফা কামাল পাশা। এরও আগে রাত সোয়া ১০টার দিকে ঢাকার সিভিল সার্জন পৌঁছেন কারাগারে। এরপর ১০টা ৪৭ মিনিটে পৌঁছেন জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি দিবাগত রাতে সৈয়দ ফারুক রহমান, বজলুল হুদা, এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদ, সুলতান শাহরিয়ার রশীদ খান ও মহিউদ্দিন আহমেদের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়। রায় কার্যকরের আগেই ২০০১ সালের জুনে জিম্বাবুয়েতে মারা যান আজিজ পাশা। পলাতক রয়েছেন খন্দকার আব্দুর রশিদ, নূর চৌধুরী, রাশেদ চৌধুরী, শরিফুল হক ডালিম ও মোসলেহ উদ্দিন।
কারা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত আইজি (প্রিজন্স) লে. কর্নেল আবরার হোসেন বলেন, শনিবার রাত ১২ টার পর এ ফাঁসি কার্যকর করা হয়। ফাঁসি কার্যকর করতে কারাগারের সকল প্রস্তুতি আগেই সম্পন্ন হয়।
শুক্রবার ( ১০ এপ্রিল ) সন্ধ্যায় স্বজনরা শেষ দেখা করেন। শুক্রবার বিকালে কারা কর্তৃপক্ষ মাজেদের পরিবারের সদস্যদের কাছে মোবাইলে ফোন করে শেষ দেখা করার তথ্য জানায়। শুক্রবার সন্ধ্যায় মাজেদের স্ত্রী ডা. সালেহা বেগম, মাজেদের এক ভাই, এক বোন ও একজন ভাতিজাসহ পাঁচ জন কারাগারে দেখা করেন।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, শনিবার সন্ধ্যার পর কারাগারের বন্দী সেলগুলো লক করে দেওয়া হয়। কারাগারের আশেপাশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। করোনা ভাইরাসে কারণে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয় ।
গত ৮ এপ্রিল মৃত্যর পরোয়ানা পড়ে শোনানোর পর সব দোষ স্বীকার করে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চান আব্দুল মাজেদ। প্রাণভিক্ষার আবেদনটি নাকচ করে দেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। প্রাণভিক্ষার আবেদন রাষ্ট্রপতি বাতিল করে দেওয়ার পর সেই চিঠিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছায়। কারাবিধি অনুযায়ী পরবর্তী কার্যক্রম চলে এবং শনিবার রাত ১২ টার পর তার ফাঁসি কার্যকর করা হবে বলে কারা সূত্র নিশ্চিত করে।
গত ৬ এপ্রিল দিনগত রাত ৩টার দিকে রাজধানীর মিরপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের সদস্যরা।
এর আগে ২০০৯ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় আব্দুল মাজেদসহ ১২ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশীদ খান, বজলুল হুদা, একেএম মহিউদ্দিন আহমেদ ও মুহিউদ্দিন আহমেদের ফাঁসি ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি কার্যকর হয়।
অন্যায় ও দূর্নীতির বিরুদ্ধে শিবচরনিউজ২৪.কমকে খবর দিয়ে সেবা নিন।
Leave a Reply