কালকিনি করেসপন্ডেন্টঃ
মাদারীপুরের কালকিনি পৌর নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মশিউর রহমান সবুজকে তুলে নেয়ার প্রতিবাদে থানা ঘেরাও করেছে তার সমর্ধকরা। এই মূহূর্তে এলাকায় পরিস্থিতি থমথমে থাকায় জেলা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তারা।
শনিবার (৬ ফেব্রুয়ারী) সন্ধা থেকে প্রায় ৩ ঘন্টা ব্যাপী এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে
এসময় পুলিশ ও আওয়ামীলীগ প্রার্থীর সমর্থকদের ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।এতে কমপক্ষে ৩০জন আহত হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে কালকিনি স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স,গোরনদীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,আজ দুপুরে কালকিনি পৌরসভা নির্বাচনের মেয়র প্রার্থী মশিউর রহমান সবুজকে মাদারীপুরের পুলিশ সুপারের সাথে দেখা করার কথা বলে ডেকে নেন কালকিনি থানার ওসি। এরপর থেকে তিনি নিঁখোজ। এই ঘটনার প্রতিবাদে সন্ধ্যায় মেয়র প্রার্থী সবুজের সমর্থকরা তার মুক্তি দাবীতে কালকিনি থানা ঘেরাও করে। এসময় বিক্ষুব্ধরা কালকিনির বিভিন্ন সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে আগুন ধরিয়ে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ করে। এক পর্যায় পুলিশ ও আওয়ামীলীগ সমর্থকদের সাথে সবুজের সর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে করে কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী মশিউর রহমান সবুজের চাচাতো ভাই হেমায়েত হোসন জানান, পৌর নির্বাচনে নারিকেল গাছ নিয়ে মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করছে মশিউর রহমান সবুজ। দুপুরে কালকিনি উপজেলা পরিষদের পেছনের এলাকায় গণসংযোগ করার সময়ে কালকিনি থানার ওসি নাসিরউদ্দিন তাকে কালকিনি থানায় নিয়ে যায়।এরপর থেকে সবুজ নিখোঁজ। এই খবর পৌর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে স্বতন্ত্র সবুজের সমর্থকরা তার নিজ বাড়িতে অবস্থান নিয়ে দলে দলে কালকিনি থানায় এসে থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। এসময় আওয়ামীলীগের প্রার্থীর সমর্থকেরাও থানা এলাকায় আসলে দুই পক্ষের ভেতরে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়।এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ এসে সংঘর্ষে যোগ দেয়।
এব্যাপারে মাদারীপুর পুলিশ সুপার মো. মাহবুব হাসান ও কালকিনি থানার ওসি নাসির উদ্দিনের সাথে কয়েকবার যোগযোগের চেষ্টা করা হলে তাদের পাওয়া যায়নি।
Leave a Reply