1. rafiqulislamnews7@gmail.com : Rafiqul Islam : Rafiqul Islam
  2. jmitsolution24@gmail.com : jmmasud :
সোমবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:৫৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার এন্ড পারফরম্যান্স স্ট্যাডিজ বিভাগে ২য় স্থান অর্জন করেন শিবচরের মিমো সৌদি আরব থেকে দেশে এসে স্ত্রী -সন্তানদের সাথে দেখা করতে শ্বশুর বাড়ি যাওয়ার পথে যুবকের মৃ*ত্যু শিবচরে আলোচিত রাকিব হ*ত্যা মাম*লার দুই আ*সা*মী গ্রে*ফ*তার শিবচরে শ্রেষ্ঠ গুণী শিক্ষক হলেন ইদ্রিস ও লাইলুন নাহার শিবচরে ৩ মাসের শিশুকে নদীতে ফেলে হত্যা করলো মা, অভিযুক্ত মা মানসিক ভারসাম্যহীন দাবী শিবচরে মেধাবী ছাত্র ছাত্রীদের মাঝে বৃত্তি প্রদান ক্যাম্পাসে ভালোবাসায় সিক্ত ‘জুলাই কন্যা’ মাদারীপুরের তন্বী ডাকসু নির্বাচনে শিবচর থেকে প্রার্থী হয়েছেন যারা শিবচর উপজেলা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্সপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ অনুষ্ঠিত ও নতুন কমিটি গঠন যোগদানের ২২ দিনের মাথায় শিবচর থানার ওসি প্রত্যাহার

করোনা ভাইরাস সংক্রমণ থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়ঃডাঃ ওমর ফারুক লপ্তী

  • প্রকাশিত : বুধবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২০, ৯.৪৩ পিএম
  • ২৪২৪ জন সংবাদটি পড়েছেন।

স্বাস্থ বাতায়নঃশিবচরনিউজ২৪.কম


করোনা ভাইরাসের বিস্তার/সংক্রমণ ঘটে যেসকল মাধ্যমে সেগুলো আমরা ডিজিটাল পদ্ধতিতে ইতোমধ্যে সবাই জেনেছি।সেই জানা ব্যাপারগুলোই বার বার রিভিউ করে আমরা ঘাতক ভাইরাসটি দ্বারা আক্রান্ত হওয়া থেকে রক্ষা পেতে পারি।উল্লেখযোগ্য মাধ্যমগুলো-

১।আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা-ভাইরাসটি তুলনামূলকভাবে অন্যান্য রেসপিরেটরী(শ্বাসতন্ত্র) ভাইরাসের চেয়ে কিছুটা ভারী হওয়ায় বাতাসে বেশিক্ষন থাকতে না পেরে সমতল/অবতলে স্থায়ী হয়ে যায় ফলে চরম ছোঁয়াচে হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।মূলত করোনা ভাইরাস একটি শ্বাসতন্ত্র সংক্রামক RNA ভাইরাস।ভারী হওয়ার কারণে এটা মারাত্মক ছোঁয়াচে হয়েছে।আক্রান্ত বা সন্দেহভাজন ব্যক্তির সংস্পর্শ থেকে বিরত থাকলে ভাইরাসটি দ্বারা আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা কমে যায়।

২।সরাসরি শাসতন্ত্রে ভাইরাস প্রবেশ-আক্রান্ত পরিবেশে বা এপিডেমিক এরিয়ায় বায়ুতে ভাসমান ভাইরাস সরাসরি আমাদের নিশ্বাস দিয়ে ফসফুসে ঢুকে যেতে পারে।এ ক্ষেত্রে আমাদের সঠিক মাস্ক ব্যাবহার সংক্রমণের ঝুকি অনেকাংশে কমাতে পারে।

৩।মাইক্রোড্রপলেটস্ ইনহেলেশন-হাঁচিকাশি থেকে তৈরি হয়।এটাও মাস্ক ব্যাবহার করে প্রতিরোধ সম্ভব।নাক ও মুখ গহবর দিয়ে আমরা যেহেতু শ্বাস-প্রশ্বাস নেই তাই মাস্ক পরেই শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ ঠেকানো যায় শতকরা ৬০ থেকে ৭০ভাগ।
সাধারনত হাঁচি-কাশি দেয়ার সময় থুথুর মত ছোট ছোট,অর্ধ-জলীয়ও পদার্থ নাক ও মুখ দিয়ে নির্গমন হয় যার কিছু অংশ আমরা দেখতে পাই,বাকি অংশ অতিক্ষুদ্র কণায় রুপান্তরিত হয়ে থাকায় মাইক্রোস্কোপ ছাড়া দেখা যায় না-সেটাই মাইক্রোড্রপলেটস্।এর মধ্যেই জীবানু থাকে ভাসমান অবস্থায়।আক্রান্ত ও সুস্থ্য উভয় ব্যক্তি মাস্ক পড়া থাকলে ভাইরাস বিস্তারের হার অনেক কম।দুইজনের মধ্যে যেকোন একজনও যদি মাস্ক ব্যবহার করে তাহলেও ঝুকি কমে।

উপরোক্ত উপায়ে ভাইরাসটি যেকারো শরীরের খোলা অংশে যেমন হাত,মুখমন্ডল এবং গায়ের জামা-কাপড় ইত্যাদিতে লেগে থাকতে পারে।স্বাভাবিক পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও হাইজেনিসিটি মেনটেইন করলে সংক্রমণের হার কমে যায়।
উল্লেখিত বিষয়ের উপর নির্ভর করেই সামাজিক ও শারীরিক দুরত্ব বজায় রাখার কৌশল নেয়া হয়েছে।

হাঁচি-কাশি প্রতিরোধে খাদ্যাভ্যাসের ভূমিকাও রয়েছে অনেক।খাওয়া-দাওয়ার পরে ভালো করে মুখ গহবর কুলকুচি করা,খুব বেশি ঠান্ডা পানি না খাওয়া,খাবার উত্তমভাবে সেদ্ধ করা ইত্যাদি।হাঁচি-কিশি দেয়ার নিয়মাবলী মেনে চলুন।সুস্থ্য থাকুন।
(পর্ব-2 শেষ)

লেখকঃ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ওমর ফারুক লপ্তী,
ডিপিএম,আইপিএইচ্এন,স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, ঢাকা।মেম্বার, সমন্বিত কোভিড-১৯ সেন্ট্রাল কন্ট্রোল রুম।

 

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © 2022
Don`t copy text!